সহজেই নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে আর কোনো দুশ্চিন্তা নয়। নগদ বাংলাদেশ ডাক-বিভাগের একটি ডিজিটাল সেবা। যার মাধ্যমে সহজেই বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে লেনদেন করা যায়। মাত্র ৩ বছর আগে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ এই সেবাটির পথযাত্রা শুরু হয়। মাত্র তিন বছরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই সেবাটির প্রতিষ্ঠান নগদ। এই সেবার মান এবং মূল্যের কারণেই বাংলাদেশের অন্যান্য অনেক মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম কে পেছনে ফেলেছে নগদ।
বর্তমানে সবথেকে কম ক্যাশ আউট চার্জ গ্রহন করে নগদ। প্রতি হাজারে মাত্র ৯.৯৯ টাকা চার্জ করে সেবা দিয়ে যাচ্ছে নগদ। আর এই কম ক্যাশ আউট চার্জ যেন নগদের সাফল্যের মুল চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করছে। নগদের সফলতা!!! ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম বিকাশ কে ও অনেকটা ছুড়ে দিতে সক্ষম। নগদের কম ক্যাশ আউট খরচের কারণেই বড় বড় লেনদেন গুলো নগদের মাধ্যমেই কেরে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ।
আপনিও চাইলে নগদের একজন গ্রাহক হতে পারেন। আমাদের আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের কে শেখাবো কিভাবে সহজেই নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো। এছাড়াও নগদ সম্পর্কিত অনেক তথ্য থাকবে এই ব্লগ পোস্ট এ।
সহজেই নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম (Easy Nagad account opening rules)
নগদ একাউন্ট মূলত তিনভাবে খোলা যায়।
১। নগদ পার্সোনাল একাউন্ট
২। নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট
৩। নগদ মার্চেন্ট একাউন্ট
এখন আমরা প্রতিটা একাউন্ট সম্পর্কে জানবো। যেমন, নগদ পার্সোনাল একাউন্ট কি? এর সুবিধা এবং কিভাবে এই একাউন্ট গুলো খোলা যায়।
১. নগদ পার্সোনাল একাউন্ট (Nagad Personal Account)
সাধারন গ্রাহকেরা যে একাউন্ট এর মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলোর মাধ্যমে সুবিধা গ্রহন করে সেই একাউন্ট গুলোই মূলত পার্সোনাল একাউন্ট। অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলো সম্পর্কে আপনি যদি ইতিমধ্যে জেনে থাকেন বা ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনি পার্সোনাল একাউন্ট সম্পর্কে ইতিমধ্যেই জানেন।
সাধারনত এ ধরনের একাউন্ট গুলো চালু করতে খুব বেশি তথ্যের প্রয়োজন হয় না। নগদ পার্সোনাল একাউন্ট খোলার জন্য ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র, নাম ঠিকানা ও ছবির বাইরে তেমন কিছুর প্রয়োজন পড়ে না।
নগদ পার্সোনাল একাউন্ট খোলার সুবিধা
নগদ পার্সোনাল একাউন্ট চালু করলে আপনি সরাসরি ব্যাংক একাউন্ট না খুলেও সরাসরি এই সেবার মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন খুব সহজেই। নগদ পার্সোনাল একাউন্ট আপনার ব্যাংক একাউন্ট হিসেবে কাজ করে। যেখানে আপনি চাইলে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত জমা রাখতে পারবেন।
আপনি চাইলে এই টাকা দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে উঠাতে পারবেন বা এই টাকা লেনদেন করতে পারবেন। নগদ পার্সোনাল একাউন্ট ব্যবহার করে আপনি আপনার একাউন্ট দিয়ে মোবাইল রিচার্জ, ফি প্রদান, বিল প্রদান, করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি বাড়তি অনেক সুবিধা পাবেন। সহজ করে বলতে গেলে নগদ পার্সোনাল একাউন্ট ব্যবহার করে আপনি মোবাইল ব্যাংকিং এর পুর্ন সুবিধা পাবেন।
সহজেই নগদ পার্সোনাল একাউন্ট খোলার নিয়ম
নগদ একাউন্ট মূলত দুইভাবে খোলা যায়। একটি হলো ইউএসএসডি (USSD) কোডের মাধ্যমে এবং নগদ অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে।
ইউএসএসডি (USSD) কোডের মাধ্যমে সহজেই নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম।
ইউএসএসডি কোডের মাধ্যমে একাউন্ত খোলার উপায় হলো প্রথমে আপনাকে আপনার ডায়াল প্যাড থেকে ডায়াল করতে হবে *১৬৭#
কোডটি ডায়াল করার পর আপনাকে আপনার একাউন্ট চালু করার আগে পিন সেট করে নিতে হবে। এখানে আপনি ৪ সংখ্যার যে কোনো পিন সেট করে নিতে পারবেন। এরপর পিনটি নিশ্চিত করার জন্য আপনাকে আরও একবার পিন টি দিতে হবে।
এরপর আপনি আপনার একাউন্ট এ জমাকৃত টাকার উপর মুনাফা পেতে চান কিনা সেটা ঠিক করে নিলেই ব্যাস হয়ে গেলো আপনার নগদ পার্সোনাল একাউন্ট।
নোটঃ নগদ পার্সোনাল একাউন্ট এর সকল সুবিধা উপভোগ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই আপনাই জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য নগদ অ্যাপের মাধ্যমে হালনাগাদ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়
আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করার উপায়
আরও পড়ুন: মুখে ব্রণ দূর করার উপায়
আরও পড়ুন: চুলের যত্নে হেয়ার প্যাক
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নগদ পার্সোনাল একাউন্ট খোলার উপায়
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নগদ পার্সোনাল একাউন্ট খোলা আরও অনেক সহজ। নগদ একাউন্ট খোলার জন্য গুগল প্লে স্টোর থেকে প্রথমে NAGAD অ্যাপটি ইনস্টল করে নিতে হবে।
প্লে স্টোরে গিয়ে অন্য সাধারন অ্যাপের মতো NAGAD লিখে সার্চ করলেই নগদ অ্যাপটি পেয়ে যাবেন। এই অ্যাপটি iOS ডিভাইস এ ও ইনস্টল করতে পারবেন iOS অ্যাপ স্টোর থেকে।
নগদ অ্যাপটি ইনস্টল করা হয়ে গেলে। এবার অ্যাপটি চালু করুন। সহজেই নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো অনুসরন করুন। অ্যাপনি চালু করলে আপনাদের সামনে নিচের ছবির মতো একটি ইন্টারফেস শো করবে।
নগদ মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খোলার জন্য অবশ্যই একটি মোবাইল নাম্বারের প্রয়োজন আছে। অ্যাপটি চালু করার পর আপনি দেখতে পারবেন মোবাইল নাম্বার দেয়ার জন্য বলা হচ্ছে। নগদ পার্সোনাল একাউন্ট খোলার জন্য এখানে মোবাইল নাম্বারটি প্রবেশ করান এবং পরবর্তী ধাপ এ এগিয়ে যান।
নোটঃ আপনি যদি নিজে নিজে নগদ একাউন্ট খুলতে না চান তাহলে, আপনার নিকটস্থ নগদ উদ্যোক্তার কাছে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল নম্বর এবং ছবি নিয়ে যোগাযোগ করুন।
আপনি চাইলে নগদ অ্যাপের সাহায্যেই কিন্তু খুব সহজেই আপনার নিকটস্থ নগদ উদ্যোগক্তা কে খুজে বের করতে পারবেন।
মোবাইল নাম্বার প্রবেশ করানোর পরে এবার আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনার মোবাইল অপারেটর। অর্থাৎ আপনি কোন কোম্পানির সিম ব্যবহার করছেন সেটি আপনাকে এবার নির্ধারন করতে হবে।
পরবর্তী ধাপে এবার আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। আগে এটি বেশ ঝামেলার বিষয় ছিল বটে। তবে বর্তমানে এটি খুব সহজেই করা যায়। জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য হালনাগাদ করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার NID কার্ড এর সামনের অংশের ছবি স্ক্যান করে দিতে হবে। যদিও আমরা এটি করার জন্য আগে কম্পিউটারের দোকানে যেতে হতো কিন্তু বর্তমানে নগদ অ্যাপের সাহায্যে আপনি আপনার মোবাইলের ক্যামেরার সাহায্যে আপনার NID স্ক্যান করে নিতে পারবেন।
নোটঃ এই ধাপে আপনাকে আপনার NID বা জাতীয় পরিচয়পত্রের স্পষ্ট ছবি জমা দিতে হবে।
উপরের প্রথম চিত্রের ন্যায় ক্যামেরা আইকনে ক্লিক করলেই নগদ অ্যাপে ক্যামেরা ব্যবহারের জন্য অনুমুতি চাইবে। অনুমুতি দেয়ার জন্যা “Allow” এর উপর আলতো করে প্রেস করুন। আপনার মোবাইল ফোনে যদি একাধিক ক্যামেরা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি যে কোন একটি ক্যামেরা ব্যবহার করে আপনার NID কার্ড এর সামনের অংশের স্পষ্ঠ ছবি স্ক্যান করুন।
ক্যামেরা স্ক্যানকৃত তথ্যগুলো এবার আপনাকে যাচাই করতে হবে। যদি আপনার NID কার্ডটি সফলভাবে স্ক্যানিং প্রসেস শেষ হয়ে থাকে। তাহলে, স্ক্যান করা NID কার্ড এর তথ্য গুলো আপনার সামনে দেখা যাবে। যেখানে আপনার নাম, মায়ের নাম, পিতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি থাকবে।
তখন আপনাকে তথ্যগুলো যাচাই করে নিতে হবে। যদি কোন অংশে ভূল তথ্য থাকে তাহলে আপনি সেটি আবার পুনরায় ঠিক করে নিতে পারবেন। আর যদি সবকিছু স্টহিক থাকে তাহলে পরবর্তী ধাপের জন্য এগিয়ে যেতে হবে।
এবার আপনাকে অন্যান্য তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে। যেমন আপনার লিঙ্গ, একাউন্টের ধরন পেশা এবং আপনি এই একাউন্ট এ জমাকৃত তাকার উপর মুনাফা পেতে চান কিনা সেটা নির্বাচন করতে হবে। সঠিকভাবে এই তথ্যগুলো নির্বাচন হয়ে গেলে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
এবার আপনাকে ছবি দিতে হবে। ছবি তমার জন্য আপনি যার NID কার্ড স্ক্যান করেছিলেন তার একটি সেলফি এখানে দিতে হবে। সহজেই নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম এর মধ্যে ছবি তোলার জন্য আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
১। ছবি তোলার সময় চারপাশে পর্যাপ্ত আলো থাকতে হবে।
২। ফ্রেমের মধ্যে আপনার সম্পুর্ণ মুখমন্ডলো রাখতে হবে।
৩। ছবি তলার সময় চশমা ব্যবহার করা যাবে না।
৪। ছবি তলার সময় ক্যামেরা স্থির করে রেখে আপনাকে স্থির হয়ে থাকতে হবে।
৫। ছবি তোলার জন্য কয়েবার চখের পলক ফেলতে হবে।
চোখের পলক ফেলার পর সয়ংক্রীয়ভাবে আপনার ছবি ক্যাপচার হয়ে যাবে। তবে মনে রাখতে হবে যে, আপনার ছবিতি যেনো স্পষ্ট হয়। তবে সাধারনত এমন অ্যাপগুলোতে ছবি খুব একটা ভালো আসেনা। তাই বারবার চেষ্ঠা করার প্রয়োজন নেই। তবে একান্ত আপনার ছবিটি ভালো না লাগলে আপনি আবার ছবি তুলতে পারবেন। ছবি তলা হয়ে গেলে উপরের চিত্রের ন্যায় আপনার ছবিটি দেখা যাবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনি পরবর্তি ধাপের জন্য এগিয়ে যেতে পারেন।
প্রত্যেকটি সেবা প্রতিষ্ঠানের কিছু শর্তাবলি থাকে। নগদ মোবাইল ব্যাংকিং ও এর ব্যাতিক্রম নয়। নগদের সর্বোমোট ১৪ টি শর্তাবলি রয়েছে। আপনি চাইলে এই ধাপে একে একে সব কয়টি শর্ত পড়তে পারবেন। সবগুলো শর্ত ভালভাবে পরে তারপর ‘আমি নগদের শর্তাবলির সাথে একমত’ এখানে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর তার নিচেই দেখতে পারবেন শর্তাবলি প্রিন্ট এবং ডাউনলোড করার অপশন চলে এসেছে।
নগদের শর্তাবলির সাথে একমত পোষন করার পর আপনাকে একটি ডিজিতাল সিগনেচার দিতে হবে। এখানে শুধুমাত্র আপনার নাম লিখলেই হবে। সাক্ষর পছন্দ না হলে মুছে ফেলে আবার নতুন করে দেয়া যাবে। সাক্ষরটি দেওয়ার পর এবার পরবর্তী ধাপে যান।
এবার আপনি আপনার আপলোড করা সমস্ত কিছু এখানে দেখতে পারবেন। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত আপনি নগদ একাউন্ট খোলার জন্য যে সকল তথ্য এই অ্যাপে আপলোড করেছেন সেই সমস্ত ডাটা এখানে দেখা যাবে। আপনি এখান থেকে নিশ্চিত হতে পারবেন যে, আপনার সমস্ত ডাটা সঠিকভাবে দেওয়া হছে কি না। সবকিছু ঠিক থাকলে পরবর্তী ধাপ অনুসরন করুন।
এবার নগদ একাউন্ট খোলার সময়কাল থেকে যে সক তথ্য এখানে হালনাগাদ করেছে সমস্ত কিছু এখান থেকে আর একবার দেখে নিন। এখান থেকে যথাক্রমে, আপনার নাম, আপনার পিতার নাম, মাতার নাম, মোবাইল নাম্বার ঠিকানা সকল কিছু দেখতে পারবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে পরবর্তী ধাপ অনুসরন করুন।
এবার পিন নাম্বার সেট করার পালা। পিন সেট করার জন্য এবার নগদ অ্যাপে লগিন করতে হবে। লগিন করার জন্য যথারিতি মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়ে গেলে এবার আপনার নাম্বারে একটি OTP (One Time Password) চলে আসবে। পারমিশন চাইলে Allow করে দিতে হবে। পারমিশন দেওয়ার কারণে আপনার OTP কোডোটি সয়ংক্রিয় ভাবে যাচি করা হবে। পরবর্তীতে আপনাকে পিন সেট করার অনুমতি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
আরও পড়ুন: রাগ নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
আরও পড়ুন: লিভার ভালো রাখার উপায়
আরও পড়ুন: মানসিক চাপ দূর করার উপায়
সহজেই নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম এর মধ্যে ৪ ডিজিটের পিন সেট করার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম অনুসরন করতে হবে।
১। পিন সেট করার সময় ১২৩৪ বা একই সংখ্যার ৪ টি সংখ্যা ব্যবহার করা যাবেনা।
২। আপনার জন্মসাল বা আপনার পিতা-মাতার জন্মসাল ব্যবহার করা যাবে না।
৩। পিনটি অনুমেয় রাখা যাবে না। এমন পিন দেওয়া যাবে না যাতে সহজেই কেউ অনুমান করতে পারে।
৪। পিনটি কারও সাথে শেয়ার করা যাবে না।
সঠিকভাবে পিনটি সেট করে নিতে হবে। পিন সেট করার জন্য পিন সেট করা জায়গায় পিনটি দিন। পরবর্তিতে পিনটি কনফার্ম করার জন্য আরও একবার পিনটি দিতে হবে। পিন দেওয়া হয়ে গেলে এবার পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন। ব্যাস হয়ে গেল আপনার নগদ পার্সনাল একাউন্ট তৈরি করা।
এবার নগদ অ্যপটি আপনার মোবাইলের কিছু পারমিশন চাইবে। পারমিশন গুলো দিয়ে দিলেই আপনার নগদ অ্যাপটি সাবলীল হবে। এবার আপনি আপনার নগদ পার্সোনাল একাউন্ট টি যথারিতি লগিন করে ব্যবহার করতে পারবেন।
২. নগদ উদ্যোগতা একাউন্ট (Nagad Uddokta Account)
নগদ উদ্যোগতা একাউন্ট মুলত এজেন্টদের জন্য। নগদ তাদের এজেন্টদের কে উদ্যোক্তা বলে সম্নোধন করে। নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট বলতে, নগদের যে একাউন্ট ব্যবহার করে আয় করা যায় মূলত সেতাই নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট। এই একাউন্ট এর মাধ্যমে নগদের পার্সোনাল একাউন্ট এ ক্যাশ ইন করা এবং নগদ পার্সোনাল একাউন্ট থেকে ক্যাশ আউট করা হয়।
নগদ উদ্যোগতা একাউন্ট এর সূবিধা
অল্প পুজিতে নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট করে আয় করা একটি ভালো ব্যাবসা। অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবার এজেন্ট নির্ভর সেবা এটি। আপনার একটি নিজস্ব দোকান থাকলে অল্প পুজিতে বাড়তি আয়ের এই সুযোগ আপনি ও গ্রহন করতে পারবেন। প্রতি লেনদেনের জন্য নির্দিষ্ট হারে কমিশন পাওয়া যায় নগদ উদ্যোক্তা একাউন্টে। মাস শেষে মোটামুটি ভালো অংকের একটি অর্থ আয় করা যায় নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট থেকে।
সহজেই নগদ উদ্যোগতা একাউন্ট খোলার নিয়ম
নগদ উদ্যোক্তা খোলার জন্য আপনাকে সরাসরি যেতে হবে নগদ কাস্টমার কেয়ার বা নগদ কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট এ। কেননা এই একাউন্ট নগদ পার্সোনাল একাউন্ট এর মতো খোলা যায় না। নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে প্রথমে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের জন্য যে সকল তথ্য প্রয়োজনঃ
১। একটি দোকান ।
২। চলতি বছরের ট্রেড লাইসেন্স।
৩। জাতীয় পরিচয়পত্র।
৪। একটি মোবাইল নম্বর।
উপরক্ত তথ্য গুলো এবং পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি সহ নগদ কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট এ যোগাযোগ করলে তারা আপনার তথ্যাদি যাচাই করবে। যাচাই করা হলে এবং আপনি যদি নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার জন্য যোগ্য হন তাহলে আপনার পরবর্তী কার্যক্রম চালু করা হবে।
আপনার আবেদনটি গ্রহণ করা হয়েছে কিনা এর জন্য NAGAD Uddokta অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। অ্যাপটি আপনি গুগল প্লে স্টোর এবং iOS অ্যাপ স্টোরে পেয়ে যাবেন।
অ্যাপটি চালু করলেই আপনার নাম্বার দিয়ে একাউন্ট এক্টিভেট করার জন্য বলা হবে। নাম্বার দিয়ে পরবর্তী ধাপে গেলে আপনাকে পিন সেট করার জন্য বলা হবে। যদি পিন সেট করার অপশন আসে তাহলেই বুঝতে হবে যে, আপনার আবেদনটি সফলভাবে মঞ্জুর করা হয়েছে। অন্যথায় আপনাকে নগদ কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টে যোগাযোগ করতে হবে।
৩. নগদ মার্চেন্ট একাউন্ট (Nagad merchant Account)
মোবাইওল ব্যাংকিং সেবা গুলো ব্যাবসায়ীদের জন্য পেমেন্ট সংক্রান্ত একটি বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে। যাকে বলা হয়ে থাকে মার্চেন্ট। নগদ মার্চেন্ট একাউন্ত এর নাম রাখা হয়েছে স্বাধীন মার্চেন্ট। এটিও অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং মার্চেন্ট একাউন্টের মতোই।
নগদ মার্চেন্ট একাউন্টের সুবিধা
এই একাউন্ট শুধুমাত্র ছোট-বড় ব্যবসায়িদের জন্য। তাই এই একাউন্তের সূবিধা কেবলমাত্র ব্যাবসায়ীগন উপভোগ করতে পারে। মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ত এর মাধ্যমে অনলাইনে পেমেন্ট করার সুবিধা থাকলে সেটা মন্দ হয় না।
মুলত ব্যবসাইয়ীদের কে এই বাড়তি সুবিধা দেওয়ার জন্যই নগদ মার্চেন্ট সুবিধা চালু করেছে। ব্যাবসায়ীদের কে এই সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি যেমন কাস্টমাররা খুশি থাকে। তেমনি নগদ ও তাদের ব্যবহারাকারি এভাবেই বাড়িয়ে তুলছে।
সহজেই নগদ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
নগদ মার্চেন্ট খোলার জন্য সাধারন ভাবে একটি নগদ পার্সোনাল একাউন্ট খুলতে হবে। আমরা ইতিমধ্যেই দেখিছি কিভাবে সহজেই নগদ পার্সোনাল একাউন্ট খোলার নিয়ম। একাউন্ট খোলার সময় অন্যান্য পেজ নামে একটা ডকুমেন্টস পাবেন । যার শিরোনামে একটি পেজ থাকবে। মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য এই ধাপে চলতি বছরের ট্রেড লাইসেন্স এবং অন্যান্য কাগজগুলর তথ্য হালনাগাদ করতে হবে।
নোটঃ মনে রাখতে হবে যে একটি বৈধ ট্রেড লাইসেন্স ব্যতিত কোনভাবেই নগদ মার্চেন্ট বা স্বাধীন মার্চেন্ট একাউন্ট কোনভাবেই খোলা সম্ভব নয়।
আমাদের শেষকথা
সময়ের সাথে সাথে বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম চালু হচ্ছে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে প্রয়োজন সেরা সেবা। সেই কাজটি খুব ভালভাবেই করার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে নগদ।
একজন গ্রাহক হিসেবে আমাদের উচিৎ সহজেই নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম মেনে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার প্রতি আস্থা না রেখে অন্যান্য সেবা গুলোও ব্যবহার করা। এতে করে একটি সেবার কোনো ত্রুটি দেখা দিলে আমাদের কে সমস্যায় পরতে হবে না। একইসাথে বিভিন্ন সেবার বিভিন্ন অফারগুলো উপভোগ করা যাবে সহজেই।